এই শিখন ফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা গ্যাস ওয়েন্ডিং সংক্রান্ত তথ্যাদি, গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ, ব্যাক ফান্নার ও ফ্লাশ ব্যাক এবং ব্রেজিং সম্পর্কে জানতে পারব।
গ্যাসের দহনে প্রাপ্ত ভাগ ব্যবহার করে ধাতব খণ্ডের অংশ বিশেষ গলিয়ে জোড়া দেয়ার প্রক্রিয়াকে গ্যাস ওয়েন্ডিং বলে। গ্যাস ওয়েন্ডিং সাধারণতঃ চার প্রকার-
১. অক্সি অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওরেল্ডিং (তাপমাত্রা ৩১০০ - ৩৪৮৩ ডিগ্রী সেঃ)
২. অক্সি হাইড্রোজেন গ্যাস ওয়েন্ডিং (ভাপমাত্রা ২২০০ - ২৮২৫ ডিগ্রী সেঃ)
৩. এয়ার অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং (তাপমাত্রা ২০২৫ - ২৪৬০ ডিগ্রী সেঃ)
৪. প্রেশার গ্যাস ওয়েল্ডিং (তাপমাত্রা ১২০০ - ২৩০০ ডিগ্রী সেঃ)
অক্সি-অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং
অক্সি-অ্যাসিটিলিন ওয়েল্ডিং প্রণালিতে অ্যাসিটিলিন (Acetylene) গ্যাসকে অক্সিজেন (Oxygen) গ্যাসের সাহায্যে জ্বালিয়ে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করা হয় । উৎপন্ন তাপ প্রয়োজন মতো সংযোগ স্থানে ও স্পেল্টারে প্রয়োগ করা হয়। তাপের সাহায্যে স্পেল্টার বা ঐ ধাতুর কিছু অংশ গলে জোড়া লেগে যায়। এতে কোন আঘাত দেয়ার প্রয়োজন হয় না। অ্যাসিটিলিনকে অক্সিজেন জ্বলতে সাহায্য করে। আনুপাতিক হারে মিশ্রিত অ্যাসিটিলিনকে অক্সিজেনের সাহায্যে জ্বালিয়ে যে শিখা তৈরি করা হয় তাকে অক্সি -অ্যাসিটিলিন শিখা বলে । অক্সি – অ্যাসিটিলিন শিখা ব্যবহার করে যে ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে অক্সি অ্যাসিটিলিন ওয়েল্ডিং বলে।
অক্সি- অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েন্ডিং পদ্ধতি দুই প্রকার-
১. উচ্চ চাপ পদ্ধতি এবং
২. নিম্ন চাপ পদ্ধতি ।
গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা
কারিগরিসহ সকল ক্ষেত্রেই ধাতু নির্মিত জিনিসপত্র ব্যবহারে ওয়েল্ডিং-এর ব্যাপক প্রয়োগ দেখা যায়। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সকল প্রকার ওয়েল্ডিং সর্ব স্তরে প্রয়োগ হয় না। সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায় বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক ও নির্ভরযোগ্যভাবে গ্যাস ওয়েল্ডিং ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচে উল্লেখিত ব্যবহারের কারণে গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর আবশ্যকতা ব্যাপকভাবে সমাদৃত । জাহাজ নির্মাণ, যানবাহনের বডি ও ইমারতে দরজা- জানালা ইত্যাদি নির্মাণ ও মেরামতের কাজে, টেবিল, চেয়ার, তাক, ইত্যাদি তৈরি ও মেরামতের কাজে, পানি, জ্বালানি, তরল, জুস ইত্যদির ট্যাঙ্ক তৈরি ও মেরামতের কাজে, বিভিন্ন ধরনের পাইপ লাইন নির্মাণ ও মেরামতের কাজে, বিভিন্ন প্রকার সিলিন্ডার নির্মাণ কাজে, রিস্কা-ভ্যানের অংশ বিশেষ মেরামতের কাজসহ অগণিত প্রয়োজনে ওয়েল্ডিং ব্যবহার করা হয়।
রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা
মূলত রেফ্রিজারেশন ও এয়ার-কন্ডিশনিং ইউনিটের বডি নির্মাণ ও মেরামত কাজে, প্লান্টের বিভিন্ন অংশ সংযোগ ও মেরামত কাজে, সিল্ড টাইপ কম্প্রেসরের ডোম ঝালাই করতে, টিউবিং এর (টিউব জোড়া, পরিবর্তন, মেরামত ইত্যাদি) কাজে, চার্জিং লাইন তৈরি, চিল্ড ও ফিড ওয়াটার লাইন তৈরি, আইস ক্যান ইত্যাদি তৈরি ও মেরামত কাজে গ্যাস ওয়েল্ডিং -এর আবশ্যকতা অসীম । তাছাড়া নিচে উল্লেখিত সুবিধাদির প্রয়োজনে গ্যাস ওয়েল্ডিং করা হয় ।
ক) হিমায়ন চক্রের স্টীল টু স্টীল টিউব সংযোগ দেয়া
খ) হিমায়ন চক্রের স্টীল টু কপার টিউব সংযোগ দেয়া
গ) হিমায়ন চক্রের কপার টু কপার টিউব সংযোগ দেয়া
ঘ) হিমায়ন চক্রের যে কোন লিক মেরামত করা ইত্যাদি
সাফল্যজনকভাবে গ্যাস ওয়েন্ডিং সম্পাদনের জন্য কিছু বিষয় জানা অপরিহার্য । নূন্যতম যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন তা হল-
১। শিখা ২। শিখার তাপ ও তাপমাত্রা ৪। জ্বালানি (গ্যাস) ৫। রাসায়নিক বিক্রিয়া ৬। বেস মেটাল ৭। ফিলার মেটাল ইত্যাদি।
গ্যাস ওরেল্ডিং শিখার বর্ণনা
ভিন্ন ভিন্ন গ্যাসের সমন্বয়ে বিশেষত অক্সিজেনের সাথে অন্যান্য গ্যাস মিশ্রনে অগ্নিশিখার সৃষ্টি ও তার মাধ্যমে ওয়েন্ডিং করার প্রচেষ্টা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। অক্সিজেনের সাথে বিভিন্ন গ্যাস যেমন হাইড্রোজেন, প্ৰপেন, বিউটেন, মিখেন ইত্যাদি গ্যাস মিশিয়ে শিখা উৎপাদন করা সম্ভব হলেও বাস্তবে এই শিখা দিয়ে ধাতু গলানো ও ওয়েন্ডিং করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে অক্সিজেনের সাথে অ্যাসিটিলিন মিশিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ দু'য়ের মিশ্রণে সর্বাধিক তাপ উৎপাদনে সক্ষম, আর তাই ওয়েল্ডিং শিল্পে অগ্নি অ্যাসিটিলিন শিখা সর্বাধিক কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। দাহ্য পদার্থ দহনের ফলে যে রক্তিম বা নীলাভ অংশের সৃষ্টি হয় তাকে শিখা বা Flame বলে । ফ্রেম তৈরিতে দাহ্য পদার্থ বা সহন ক্রিয়ার সহায়ক পদার্থের প্রয়োজন হয়।
শিখার শ্রেণী বিভাগ
অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখা তিন প্রকার-
১। নিউট্রাল শিখা (Neutral Flame)
২। কার্বুরাইজিং শিখা (Carburizing Flame )
৩। অক্সি-ডাইজিং শিখা (Oxidizing Flame)
১। নিউট্রাল শিখা (Neutral Flame)
সমপরিমান অক্সিজেন ও সমপরিমান অ্যাসিটিলিন গ্যাস একসাথে মিশ্রিত হয়ে যে শিখার সৃষ্টি হয় তাকে নিউট্রাল শিখা বলে। নিউট্রাল শিখা ওয়েন্ডিং এর পক্ষে সুবিধাজনক। এই শিখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ওয়েল্ডিং এর সময় বেস মেটালে কোন প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় না। এই শিখার রং উজ্জ্বল সাनা ও সামান্য নীলভ বর্ণের। এই শিখার তাপমাত্রা ৩০০০ সেন্টিগ্রেড থেকে ৩২০০ সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাইন্ডষ্টীল, স্টেইনলেস স্টীল, কার্ট আয়রন, ভাষা অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলোর জন্য নিউট্রাল শিখা ব্যবহৃত হয়।
২। কার্বুরাইজিং শিখা (Carburizing Flame )
যে অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখায় অক্সিজেনের চেয়ে অ্যাসিটিলিনের পরিমাণ বেশী থাকে তাকে কারাইজিং শিখা বলে। এই শিখায় অতিরিক্ত অ্যাসিটিলিন থাকার ফলে ইনার (Inner) কোণের উপর একটি সাদা বর্ণের লম্বা অতিরিক্ত কোণ সৃষ্টি হয় তাকে অ্যাসিটিলিন ফিদার (Acetylene Feeder) বলে। এই শিখা ধাতু খণ্ডের উপরে প্রয়োগ করলে গলিত ধাতুকে ফুটন্ত ও অগ্রহ দেখার। কার্বনের পরিমাণ বেশী বলে এই শিখা মূলত ধাতুর উপরিভাগ শক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই শিখার তাপমাত্রা অন্যান্য শিখার তুলনায় অনেক কম। এর তাপমাত্রা ২২০০ সেঃ - ২৫০০ সেঃ। এই লিখার তাপমাত্রা কম থাকার অ্যালুমিনিয়াম, হাই কার্বনস্টীল, নিকেল ওয়েন্ডিং করতে এই শিখা ব্যবহৃত হয়।
৩। অক্সিডাইজিং শিখা (Oxidizing Flame )
যে অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখার অ্যাসিটিলিনের চাইতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশী তাকে অক্সিডাইজিং শিখা বলে। এই শিখার ইনার কোপ নিউট্রাল শিখার ইনার কোণের তুলনায় অধিক সরু। এই শিখা অধিক শক্তি উৎপন্ন করে। ওয়েন্ডিং এর সময় তাপমাত্রা বেশী দরকার হলে এই শিখা ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ধাতু কাটিং এর ক্ষেত্রে এই শিখা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া অলৌহজ ধাতু, যেমন- পিতল, ব্রোঞ্জ, গানমেটাল প্রভৃতি জোড় দেয়ার জন্য এই শিখা ব্যবহৃত হয়। এই শিখার তাপমাত্রা ৩০০০ সেঃ- ৩৩০০ সেঃ।
গ্যাস ওয়েন্ডিং কাচাঁমাল (Raw Materials)
০১) ব্রাশ রড ০২) ব্রেজিং রড ০৩) ব্রেজিং পাউডার এবং ০৪) ওয়েল্ডিং এর জন্য ধাতব পদার্থ গ্যাস ভরেন্ডিং করার জন্য সাধারণত বড় বড় অক্সিজেন এবং অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। যা বিভিন্ন স্থানে বহন করা কষ্টকর এবং ব্যয়বহুল। তাই বর্তমানে তুলনামূলক হাল্কা কাজ অর্থাৎ গ্রিজ এবং এসির কাজ করার জন্য সহজে স্থানান্তর বা বহন করা যায় এই রকম মোবাইল গ্যাস ওয়েন্ডিং ক্যান এবং নক্ষন পান্না যায়। পরবর্তী পাড়ায় মোবাইল গ্যাস ওয়েল্ডিং ক্যানের চিত্র দেয়া হল-
সুন্দর সংযোগ করার পূবর্শত যথাযথ ওয়েন্ডিং ব্যবস্থা । আর সঠিক ওয়েল্ডিং-এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন সঠিক গ্যাস নিয়ন্ত্রণ। সুতরাং উত্তম মানের ওয়েন্ডিং-এর জন্য সঠিকভাবে গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জানা খুবই জরুরী। গ্যাসের এই চাপ নিয়ন্ত্রণ দুই পর্যায়ে হয়ে থাকে-
ক) গ্যাস সিলিন্ডার রেগুলেটর দিয়ে সিলিন্ডারের গ্যাসের প্রেশার কমিয়ে ওয়ার্কিং মাত্রার সামান্য ঊর্ধ্ব মাত্রায় হোস পাইপে প্রেরণ করা এবং
খ) টর্চের রেগুলেটর দিয়ে গ্যাসের সঠিক মাত্রার ওয়ার্কিং প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে নজল বা টিপে প্রেরণ করা। নিচের টেবিলের তথ্যানুযায়ী গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ওয়েন্ডিং করা হয়-
সিলিন্ডারের চাপ ও আয়তন
গ্যাস সিলিন্ডারের চাপ নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি ধাপ
১। উত্তর সিলিন্ডারের কন্ট্রোল তাৰ খুলে সিলিন্ডার প্রেশার গেজের মাধ্যমে প্রেশার লক্ষ্য করতে হবে ।
২। উভয় সিলিন্ডারের প্রেশার রেগুলেটরদ্বয় চালু করে ওয়ার্কিং প্রেশার গেজের নির্দেশিকার মান দেখে ওয়ার্কিং প্রেশার নির্ধারণ করতে হবে।
৩। অতঃপর টর্চের রেগুলেটর চালিয়ে যথাযথ শিখা তৈরিতে প্রয়োজনীয় মাত্রার গ্যাস সরবরাহ করতে হবে ।
৪। ১/২ (অর্ধেক) ইঞ্চি ব্যাসের কপার টিউব ঝালাই করার জন্য অ্যাসিটিলিন পাসের প্রেশার ৫ কেজি / বঃ সেমিঃ এবং অক্সিজেনের প্রেশার ০.৫ থেকে ০.৬ কেজি/ বঃ সেমিঃ রাখা হয় এবং ৫০ নম্বরের নাশ ব্যবহার করা হয়।
৫। বেশি ব্যাসের টিউবের ক্ষেত্রে ৭৫ নম্বরের নজল ব্যবহার হয় ।
ব্যাক ফায়ার- প্যাস ওয়েল্ডিং করার সময় টর্চের টিপে উচ্চ শব্দ করে শিখা সাময়িক ভাবে নিচে আবার জ্বলে। একে ব্যাক ফারার বলে।
ফ্লাশ ব্যাক- গ্যাস ওয়েন্ডিং করার সময় ওয়েল্ডং টর্চের টিপ অথবা হোজ পাইপের ভেতরে শিখার অন্তর্মুখী প্রজ্বলনকে ফ্লাশ ব্যাক (Flash Back) বলা হয় । এতে অনেক সময় ফোঁস ফোঁস কিংবা একটানা চিঠি শব্দ সহযোগে ধোঁয়াযুক্ত ছোট খাট শিখার সৃষ্টি হয়।
ফ্লাশ ব্যাক হওয়ার কারণ- ময়লা যুক্ত গ্যাস প্রবাহের লাইন, অনুপোযুক্ত প্রেশার, বিকৃত বা টিলা টিপ, টিলা টর্চ, মোচড়ানো হোঙ্গ পাইপ, টিপের ছিদ্র পথে ময়লা, টিপের অতিরিক্ত উত্তপ্ত অবস্থা ইত্যাদির কারণে ক্লাশ ব্যাক হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এর প্রতিকার- ফ্লাশ ব্যাক মূলত ব্যবহৃত সরঞ্জামের কোন না কোন মৌলিক ত্রুটির কারণে সংঘটিত হয়। ফ্লাশ ব্যাক নিরসনের জন্য সরঞ্জামগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষন এবং সে সঙ্গে কাজ শুরু করার আগে দক্ষ কারিগর দিয়ে ভালভাবে পরীক্ষা করে নেয়া আবশ্যক। এছাড়াও ফ্লাশ ব্যাক প্রতিরোধের জন্য ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার ব্যবহার করা হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার- ফ্লাশ ব্যাক এক ধরনের বিপদজনক ঘটনা। এটি রেগুলেটরকে অকেজো করে দিতে পারে। তাই রেগুলেটরকে ক্লাশ ব্যাকের দূর্ঘটনা হতে রক্ষা করার জন্য এক বিশেষ ধরনের বস্ত্র ব্যবহার হয়, তাকে ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার (Flash Back Arrestor) বলে। এই ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাশ ব্যাক রোধ করে।
ব্যাক ফারার হওয়ার কারণ-
১. টর্চের টি ওয়ার্ক পিসের বেশি কাছে আসলে
২. টিপের ছিদ্রপথে কোন কিছু প্রবেশ করে গ্যাস প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করলে
৩.টিল যদি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়
৪. আভার সাইজ টিপ ব্যবহার করলে
ব্যাক ফায়ারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
১. টর্চের টিপ ওয়ার্ক পিস থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বজায় রাখা
২.টিপের ছিদ্রে যাতে কোন ময়লা প্রবেশ না করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা
৩. টিপ উত্তপ্ত হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে আবার ওয়েল্ডিং করা
৪. সঠিক সাইজের টিপ ব্যবহার করা।
গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং সাবধাণতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেফটি ইকুইপমেন্টগুলো হাতের নাগালে রাখতে হবে । বন্ধ বা উত্তপ্ত স্থানে গ্যাস ওয়েন্ডিং সিলিন্ডার রাখা বা ওয়েল্ডিং করা যাবে না। গ্যাস ওয়েন্ডিং সেট একত্রিত করার সময় নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে-
অক্সি-এ্যাসিটিলিন শিখার ৮০০০ ডিগ্রী ফারেন হাইট তাপমাত্রায় খাজুর পাত বা পিটকে উত্তপ্ত করে ব্রেজিং রঙ এর সাহায্যে জোড়া দেয়া হয় ।
ব্রেজিং প্রণালীর প্রকারভেদ
ব্রেজিং এর পদ্ধতিগুলোকে নিচে উল্লেখিত ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে-
ক) টর্চ ব্রেঞ্জিং খ) ফার্নেস ব্রেঞ্জিং গ) ভ্যাকুরাম ব্রেজিং খ) ইনডাকশন ব্রেজিং ও ডিপ ব্রেজিং (মেটাল এবং সল্ট বাথ ব্রেজিং) চ) রেজিস্ট্যান্স ব্রেজিং ছ) ইনফ্লাড ব্রেজিং জ) কার্বন-আর্ক ব্রেজিং ঝ) ফ্লো ব্রেজিং ঞ) বক ব্রেজিং
ব্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা
জোড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রেজিং একটি উত্তম ও সহজ পদ্ধতি। এটি নন-ফিউশন ধরনের ওয়েন্ডিং পদ্ধতি। বিভিন্ন কল-কারখানায় ভাষা, পিতল ও স্টীলের সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশকে জোড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ড্রেজিং ওয়েন্ডিং করার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধি-
১। ব্রেজিং করার পূর্বে জবগুলোকে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া।
২। ব্রেজিং ধোঁয়া শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে জন্য মাস্ক পরা ।
৩। টর্সের এবং ফিলার মেটালের কৌণিক দূরত্ব সঠিক ভাবে বজায় রাখা।
৪। ব্রেজিং এর সময় অবশ্যই ফ্লার ব্যবহার করা উচিত।
৫। আবদ্ধ স্থানে ব্রেঞ্জিং করা যাবে না।
৬। ব্যাক ফায়ার যাতে না হয় সে জন্য টর্স এবং ওয়েল্ড মেটালের দূরত্ব ঠিক রাখা।
Read more